দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ দ্রুত বাড়ছে

278
রেমিট্যান্সে ৫ শতাংশ প্রণোদনা

নিউজ ডেস্ক : পবিত্র ঈদ উৎসবের আগে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা জুনের ২৩ দিনে ১.৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশ থেকে অর্থ প্রেরনকারীরা  মে মাসে ১.৬৯ বিলিয়ন ডলার এবং এপ্রিলে ১.৬৮ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে।

 

১ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে দেশে সবচেয়ে বেশি ২৯১ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে । এ ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যার মাধ্যমে এসেছে ১১৫ মিলিয়ন ডলার এবং বেসরকারী বাণিজ্যিক প্রিমিয়ার ব্যাংক তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে,  যার মাধ্যমে এসেছে  ১১৪ মিলিয়ন ডলার।

 

অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রধানত চার কারণে বাড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি রেকর্ড পরিমাণে বাড়ছে। টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির ফলে প্রবাসীরা বাড়তি অর্থ পাচ্ছেন। হুন্ডির পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে রেমিট্যান্সের অর্থ।

 

এছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে রেমিট্যান্সের অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর আরোপিত ফি প্রত্যাহার করায় খরচ কিছুটা কমেছে। এতেও রেমিট্যান্স বাড়বে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 

এদিকে বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ বাড়তে পারে। ফলে বছর শেষে তা ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে দাঁড়াতে পারে।

 

সূত্র জানায়, করোনার কারণে ২০২০ সালে জনশক্তি রপ্তানিতে মন্দা ছিল। ওই সময়ে বিদেশে যাওয়ার পরিবর্তে মানুষ ফেরত এসেছে বেশি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থমকে ছিল জনশক্তি রপ্তানি। ওই বছরের অক্টোবর থেকে তা বাড়তে থাকে। ২০২১ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছিল ৭৪ হাজার জন। ওই বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখে। ২০২২ সালের জানুয়ারি-মার্চে ৩ লাখ ২৩ হাজার জন, একই বছরের এপ্রিল-জুনে ২ লাখ ৯৩ হাজার, জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২ লাখ ৫৯ হাজার এবং অক্টোবর-ডিসেম্বরে ২ লাখ ৬১ হাজার জন জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চে ৩ লাখ ২৩ হাজার জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে রেকর্ড হয়। সব মিলে এখন বিদেশে মোট কর্মীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৫ লাখ।

 

নতুন অভিবাসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয়। দেশগুলো মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। নতুন কর্মীরা দেশে অর্থ পাঠানো শুরু করলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

Related Post:
ডলারসহ পাঁচ বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন আরটিজিএসে
গত ৪ মাসের রপ্তানি আয় ১৭৪৪ কোটি ডলার; সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স