গত ৪ মাসের রপ্তানি আয় ১৭৪৪ কোটি ডলার; সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

191
রপ্তানি আয়, সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স,

নিউজ ডেস্ক : চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) দেশে রপ্তানি আয় এসেছে ১ হাজার ৭৪৪ কোটি ৭৪ লাখ মার্কিন ডলার এবং সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এই রপ্তানি আয় এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৮৫ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে ১৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন; যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ।

 

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাক খাত থেকে ১ হাজার ৪৭৮ কোটি ৩১ লাখ ডলারের আয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নীট পোশাক (সোয়েটার, টি-শার্ট জাতীয় পোশাক)  রপ্তানি হয়েছে ৮৬৭ কোটি ৬৭ লাখ ডলার সমমূল্যের এবং ওভেন পণ্যের (শার্ট, প্যান্ট জাতীয় পোশাক)  রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১০ কোটি ৬৩ লাখ ডলার।

 

এছাড়া জুলাই-অক্টোবর সময়ে অন্যান্য প্রধানতম রপ্তানি পণ্য যেমন- পাট ও পাটজাত পণ্য ২৯ কোটি ডলার, হোম টেক্সটাইল ২৩ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ৩৫ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, প্লাস্টিক পণ্য ৭ কোটি ১১ লাখ ডলার, কৃষিজাত পণ্য ৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, হিমায়িত মাছ ১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার এবং রাসায়নিক পণ্য ১১ কোটি ৪০ লাখ ডলার দাঁড়িয়েছে। এদিকে অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয় পাওয়া গেছে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

 

চার মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স অক্টোবরে

সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে ১৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন; যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রবাসীদের এখন প্রতি ডলারে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও সমপরিমাণ প্রণোদনা দিচ্ছে। ফলে প্রবাসীরা বৈধ পথে পাঠানো প্রতি ডলারের জন্য ১১৫ টাকার বেশি পাচ্ছেন। কোনো কোনো ব্যাংক অবশ্য আরও বেশি দাম দেয়। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয়ে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, পুরো অক্টোবর মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এর আগের তিন মাস জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ও সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। এর আগে জুনে আসে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
অক্টোবরে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। এর বাইরে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংক ১৫ কোটি ৪৪ লাখ, বিশেষায়িত একটি ব্যাংক ৫ কোটি ৮২ লাখ ও বিদেশি ব্যাংকগুলো ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এনেছে।

 

দেশে ডলার-সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম বুধবার থেকে ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। ফলে আজ থেকে এই দুই ক্ষেত্রে প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। তবে প্রবাসী আয়ে ওই দামের সঙ্গে ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাওয়া যায়। অন্যদিকে আমদানিকারকদের কাছে ১১১ টাকায় ডলার বিক্রি করছে ব্যাংকগুলো। সেই সঙ্গে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের সর্বোচ্চ দাম ১১৪ টাকা।

 

গতকাল বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) যৌথ সভায় ডলারের নতুন দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়।

Related Post:
দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ দ্রুত বাড়ছে