নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের ছয়টি লিজিং প্রতিষ্ঠান ও তিন বীমা কোম্পানীসহ মোট নয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান-এর প্রায় সাড়ে এগারো হাজার কোটি টাকা লোপাটের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নথিপত্রের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, লিজিং কোম্পানীগুলো কাগুজে কোম্পানীকে দেয়া ঋণের টাকা আর ফেরত আসেনি।
অন্যদিকে বীমা কোম্পানীগুলো থেকে ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ সরিয়ে নেয়া হয়েছে এর জন্য পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই অভিযুক্ত হয়েছেন। লিজিং কোম্পানী প্রাইম ফাইন্যান্স থেকে ঋণের নামে প্রায় একান্ন কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে।
অন্যদিকে পরিচালকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়া হয়েছে চারশত বেয়াল্লিশ কোটি টাকা। এই টাকায় কোনো লাভ তো আসেনি বরং মূল টাকা ফেরত আসা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। দুর্নীতি দমন কমিশনে আসা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে রয়েছে এমন তথ্য।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেন্জ কমিশন -এর এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ- এ গ্রাহকদের জমা দেয়া ২০১০ সাল হতে ২০২০ সালের মধ্যে দুই হাজার একশত কোটি টাকার হদিস মিলছে না।
দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলা হতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। দুর্নীতি বন্ধে অনিয়মকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথাও বলেছেন তিনি।
দুর্নীতি’র দায়ে অভিযুক্ত ফারইষ্ট লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে বিদেশ গমনেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনা হলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমবে বলে বিশেষ ব্যক্তিদের অভিমত রয়েছে।