সংসদ নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোন চাপ নেই : শাজাহান খান

294
সংসদ নির্বাচন

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোন চাপ নেই। তবে বহির্বিশ্বের আশা ও প্রত্যাশা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে ব্যাপারে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। আজ শুক্রবার মাদারীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে শাজাহান খান এসব কথা বলেন।

 

মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান আরো বলেন, নির্বাচন সাংবিধানিক পদ্ধতিতেই হবে। সারা পৃথিবীতে যে সকল গণতান্ত্রিক দেশ রয়েছে, সে সকল দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেইভাবেই নির্বাচন হবে। এখানে তত্ত্ববধায়ক সরকারের কোন সুযোগ নেই। সেটা সংবিধানে নেই, এমন-কি পৃথিবীর কোথায়ও নেই।

 

আমেরিকার ভিসানীতি প্রসঙ্গে শাজাহান খান বলেন, আমেরিকা যে ভিসানীতি জারী করেছে, এটার মধ্যে দিয়ে বিএনপির আশা গুঁড়ে বালি। আমেরিকার ভিসা না দেয়ার বিষয় শুধু সরকার বা আওয়ামী লীগের নয়, যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদেরকে এই ভিসানীতির আওয়াত আসতে হবে।

 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান খান, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ।

————————–          —————         ——————————-

সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার

ফরাসি দার্শনিক চার্লস লুই দ্য মন্টেস্কু রচিত ‘দ্য স্পিরিট অব লজ’ বইয়ে বলেছেন, “প্রজাতন্ত্র অথবা গণতন্ত্র যেকোনো ক্ষেত্রের ভোটেই, দেশের প্রশাসক হও অথবা প্রশাসনের অধীনে থাকো- এই দু’টি অবস্থার মধ্যেই পর্যায়ক্রমে ভোটারদের থাকতে হয়। নিজেদের দেশে কোন সরকার আসবে তা বাছাই করার ‘মালিক’বা ‘মাস্টার’ হিসেবে কাজ করে ভোটাররাই, ভোট দিয়ে একটি সার্বভৌম (অথবা শাসক) ব্যবস্থাকে চালু রাখে জনসাধারণই।” হয়তো এ কারণেই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন, ‘বুলেটের চেয়ে ব্যালট বেশি শক্তিশালী।’

 

গেটিসবার্গ বক্তৃতায় লিংকন গণতান্ত্রিক সরকারের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘সরকার হচ্ছে জনগণের, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য।’ দুর্ভাগ্যবশত সরকার নির্বাচনে আজকের বাংলাদেশে আব্রাহাম লিংকনের এ উক্তিটি অকার্যকর। কারণ ২০১৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিজেদের ইচ্ছা শক্তির কাছে জিম্মি করে ফেলেছে। জনগণের ভোটের মূল্য নেই। সরকার যাকে ইচ্ছা বিজয়ী করতে পারে। জনগণের ভোট দেয়ার প্রয়োজন হয় না, সরকারি দলের লোকজনই ইচ্ছে মতো ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পারে।

Related Post:
আগামী ১৩ ই নভেম্বর ২০২২ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে “বিনিময়”