বাংলাদেশকে বিশেষ ‘বিজনেস হাব’ হিসেবে বিবেচনা করছে তুরস্কের ব্যবসায়ীরা

3
বিশেষ ‘বিজনেস হাব’

বাংলাদেশে পর্যটন, নির্মাণ শিল্প ও অবকাঠামো, জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা, শিপিং, এয়ারলাইন্স, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বড় সম্ভাবনা দেখছেন তুরস্কের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। এসব খাতে যৌথ কিংবা সরাসরি বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ-তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ সফরে আসা তুরস্কের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল। তুরস্কের ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশ কেবল একটি বাজার নয় বরং অন্যতম একটি বিশেষ ‘বিজনেস হাব’ হিসেবে বিশেষভাবে বিবেচিত।

 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-তুরস্ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ’ শীর্ষক গোলটেবিল সভায় এসব কথা বলেন তুরস্কের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

 

এসময় তুরস্কের বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী ড. ওমের বোলাত বলেন, তুরস্কের বেশকিছু প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছে। তাদের আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ-তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার সুযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, তুরস্কের ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশ কেবল একটি বাজার নয় বরং অন্যতম একটি বিশেষ ‘বিজনেস হাব’ হিসেবে বিশেষভাবে বিবেচিত।

 

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন, অবকাঠামো, জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা, শিপিং, এয়ারলাইন্স, আইসিটি, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে বাংলাদেশ ও তুরস্কের বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে।

 

সভায় স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, তুরস্ক একটি শক্তিশালী এবং উন্নত অর্থনীতির দেশ। দক্ষতা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, গবেষণা প্রভৃতি বিষয়ে তাদের সহযোগিতা আমাদের জন্য জরুরী। পর্যটন, এভিয়েশন, শিপিং প্রভৃতি শিল্পে তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম অংশীজন।

বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ হাফিজুর রহমান বলেন, এখনও অনাবিষ্কৃত অনেক নতুন এবং সম্ভাবনাময় খাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্ব দেন এফবিসিসিআই’র প্রশাসক।

 

সভায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন দ্য ইউনিয়ন অব চেম্বার্স অ্যান্ড কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অব তুর্কিয়ের (টিওবিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট তামের কিরাণ।