জন্ম নিবন্ধন-এনআইডি ‘র জন্য নতুন আইন। জন্মের পরই পাওয়া যাবে এনআইডি নম্বর

341
জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি

নিউজ ডেস্ক : এখন থেকে জন্মের পরই দেয়া হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর। আর ১৮ বছর বয়সে যুক্ত হবে ভোটার তালিকায়। এমন বিধান রেখে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন জানান, নতুন এই (জন্ম নিবন্ধন – এনআইডি) আইন সংসদে পাস হলে নাগরিকদের পরিচয়ের একটি-ই নম্বর থাকবে। আর এখন থেকে নিবন্ধনের দায়িত্ব ইসির পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পালন করবে।

 

মন্ত্রিসভা ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০২৩’এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের কাজটি করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নতুন আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন নিবন্ধকের অফিস নামে একটি সংস্থা। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ১৮ বছরের বেশী বয়সী নাগরিকেদের নিয়ে ভোটার তালিকা করবে।

 

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।

 

মাহবুব হোসেন বলেন, প্রস্তাবিত এই (জন্ম নিবন্ধন-এনআইডি) আইনের আওতায় এখন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এ জন্য নিবন্ধকের কার্যালয় থাকবে। এই অফিসের প্রধান হবেন নিবন্ধক। তাঁর মাধ্যমে এই কাজটি হবে। এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, যেকোনো নাগরিক  জন্মের পরপরই নাগরিক সনদ  বা একটি নম্বর পাবেন। এই নম্বরটি অপরিবর্তিত থাকবে। যখন একজন নাগরিক এই নম্বরটি পাবেন, তখন পরিচয়ের জন্য আর কোনো নম্বর লাগবে না।

 

সাংবাদিকদের এক  প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্যাদি ইসি থেকে নতুন নিবন্ধকের দপ্তরে স্থানান্তর করা হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, এখন যাঁদের এনআইডি আছে সেগুলো কার্যকর বা চলমান থাকবে। বর্তমান নিয়মে কেবল ১৮ বছর বা তার বেশী বয়সীরা এনআইডি করতে পারেন। প্রস্তাবিত আইনে যেকোনো বয়সে এনআইডি করা যাবে।

 

ভোগান্তি দূর করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, লক্ষ্য হলো ধীরে ধীরে এই একটি (ইউনিক) পরিচয়পত্র নম্বরেই সব তথ্য রাখা। আইন (জন্ম নিবন্ধন-এনআইডি) পাস হওয়ার পর সরকার নির্ধারিত তারিখ থেকে নতুন নিবন্ধকের অফিসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধকের কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

Related Post:
নতুন আয়কর আইন কার্যকর ১লা জুলাই’২০২৩ থেকে