নিউজ ডেস্ক : আগামী অর্থবছর অর্থাৎ পয়লা জুলাই থেকেই কার্যকর হচ্ছে নতুন আয়কর আইন ২০২৩। বাংলায় তৈরি এই আইন ব্যবসাবান্ধব বলে দাবী করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর কর্মকর্তারা। এর মাধ্যমে শেষ হচ্ছে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর অধ্যায়।
এনবিআর কর্মকর্তারা মতে, কর ফাঁকি বন্ধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নানা দিক এতে সংযোজিত হয়েছে। পাশাপাশি আয়কর রিটার্ন জমাও সহজ হবে। কর আদায়ে ব্রিটিশ সরকার ১৯২২ সালে ভারত উপমহাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ আয়কর আইন চালু করে। পাকিস্তান আমলে এবং স্বাধীনতার পর কয়েক বছর এই আইনেই চলে দেশের রাজস্ব আদায়। দীর্ঘ সময়ে নানা পরিবর্তনের কারণে আইনটি জটিল হয়ে পড়ে। এ কারণে এরশাদ সরকারের সময়ে জারী করা হয় আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪।
নানা পরিবর্তনের কারণে এই অধ্যাদেশও জটিল ও কঠিন হয়ে পড়ে। দাবী ওঠে নতুন আইনের। প্রায় এক যুগের চেষ্টায় যা পূরণ হতে যাচ্ছে। আয়কর আইন ২০২৩ এরই মধ্যে মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। যা সংসদে উঠছে বাজেট অধিবেশনে।
নতুন আইনের খসড়া প্রণয়ণের পর সরকারী-বেসরকারী খাতের সমন্বয়ে একটি মূল্যায়ন কমিটি করে এনবিআর। দীর্ঘ পর্যালোচনার পর একশ আটটি সুপারিশ করে কমিটি। এর মধ্যে একশো একটি সুপারিশ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হয়েছে।
আরো পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী মূল্যম্ফীতিতে বাজারে নাকানি চুবানি খাচ্ছে নিম্নবিত্তরা!
এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, এই আইনে কর কর্মকর্তাদের ক্ষমতা কমানো হয়েছে। বিবেচনাবোধ নয় বরং হিসাবের ভিত্তিতে আইন প্রয়োগ করতে হবে। বর্তমানে একটি কোম্পানীকে বছরে উৎসে করের ২৮টি রিটার্ন জমা দিতে হয় এনবিআর অফিসে। নতুন আইনে যা কমে আসবে ১২টিতে।
আয় থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে ধাপে ধাপে কর আদায় করে সরকার। অনেক সময় আদায় হওয়া কর নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশী হয়। বছর শেষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অতিরিক্ত কর ফেরত দেয়ার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। নতুন আইনে দেশেও থাকছে সে ব্যবস্থা।
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলা ভাষায় অনুদিত আইন বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে। এজন্য আইনটি দ্রুত ইংরেজী ভাষায় রুপান্তরের দাবী তাদের।