নিউজ ডেস্কঃ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জের চেয়ে সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘এলডিসি গ্রাজুয়েশনের কিছু চ্যালেঞ্জ তো আছেই, কিন্তু সম্ভাবনাও কম নয়। চ্যালেঞ্জকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি পণ্য ও খাতে বৈচিত্র্য আনতে হবে।’ এলডিসি উত্তোরণের পর জিএসপি সুবিধা না থাকলেও রপ্তানি বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। তবে জিএসপি সুবিধা বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসা চলমান রাখতে এফটিএ করার পক্ষে মত দেন জসিম উদ্দিন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফরের উপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জসিম উদ্দিন এসব কথা বলেন। সংগঠনটির নিজ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘অনেকে মনে করেন জিএসপি সুবিধা বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসা শেষ, কমে যাবে। কিন্তু তা হবে না। আমেরিকান মার্কেটে জিএসপি সুবিধা নেই, কিন্তু গতবছর রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ২৩ শাংশের বেশি।’
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘জিএসপি শুধু ইউরোপের মার্কেটে রয়েছে, যা হয়তো ২০৩১ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে।
আমেরিকান মার্কেট দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি। সেখানে জিএসপি সুবিধা না থাকলেও রপ্তানি বাড়ছে, কিন্তু ইউরোপের বাজারে বাড়বে না কেন। রপ্তানি বাড়াতে হলে পণ্যের সেক্টর বাড়াতে হবে। নতুন পণ্য আনতে হবে। নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। দেশের সম্ভাবনাময় খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৩০ থেকে ৩৫ বিলিয়ন ডলার গার্মেন্টস রপ্তানি করে, কিন্তু কিছু ফেব্রিক (ওভেন) নিয়ে আসছি। বাংলাদেশে যদি এই ফেব্রিক বানাতে পারি, তাহলে তো কোনো সমস্যা নাই। সরকার ১০১টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন তৈরি করছে। এখানে ফেব্রিক তৈরিতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরী হয়েছে। বড় বড় বিনিয়োগ হচ্ছে।
তিনি মনে করেন, দেশের বেসরকারি খাত ও সরকার সবাই মিলে একত্রে কাজ করতে পারলে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত হতে কোনো সমস্যা হবে না।